আবার নোট বন্দি হচ্ছে না তো? ইঙ্গিত ভারত সরকারের।
এই নোট বন্ধের কথা শুনলে মানুষের বুকের হার্টবিটটা জোরে চলাচল করতে শুরু করে। কেননা সেই ভয়ংকর নোট বন্ধের কথা কে বা ভুলতে পারে। ৮ তারিখ ৮ নভেম্বর ২০১৬ সেদিন নোটবন্দের কথা ঘোষণা করেছিলেন আমাদের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। Demonization করা হয়েছিল ব্ল্যাক মানি ফেরত আনার জন্য। কিন্তু কতগুলি ব্ল্যাকমানি ফেরত এসেছে তা এখনো সরকার স্পষ্ট করেনি। যাইহোক আজকে আবার নোট বন্ধের কথা উঠছে কেন? তো চলুন জেনে নেই কেন আবার নোট বন্দর কথা উঠে আসছে।
ইদানিং এই সেপ্টেম্বর মাসে নয় এবং দশ তারিখ জি-টোয়েন্টি (G20) Summit এর আয়োজন করেছিল ভারত সরকার। সেখানে প্রায় কুড়িটা দেশের দেশের প্রধানরা এসেছিলেন। কিন্তু সেখানে উপস্থিত থাকার জন্য দেশের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মর্ম কে একটা চিঠি লিখেছিলেন ভারত সরকার। সেখানে লিখেছিলেন প্রেসিডেন্ট অফ ভারত (President of Bharat).
এরপর থেকে শুরু হয় বিবাদ। বিরোধীদল যতগুলো আছে সব দলে কিন্তু মাঠে নেমে যায়। যে ভারত সরকার দেশের নাম বদল করতে চাইছে। মানে ইন্ডিয়া থেকে ভারত করতে চাইছে। আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে, প্রেসিডেন্ট অফ ইন্ডিয়া না লিখে প্রেসিডেন্ট অফ ভারত কেন লিখল? হ্যাঁ এখানেই লুকিয়ে আছে সব প্রশ্নের উত্তর। আপনি যদি একটু সোশালিস্ট হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই জানবেন যে, বিরোধী দল গুলোর যে ইউপিএ (UPA) একটা গঠবন্ধন ছিল। সেটার নাম পরিবর্তন করে বর্তমানে INDIA করা হয়েছে। বিরোধীদলের গঠবন্ধনের নাম যখন ইন্ডিয়া রাখা হয় তারপর থেকেই মোদি সরকার নড়েচড়ে বসে।
যাইহোক যখন জি-টুয়েন্টি (G20) এর বৈঠক হয় তখন মোদি সরকার প্রেসিডেন্ট অফ ইন্ডিয়া এর জায়গায় প্রেসিডেন্ট অফ ভারত লেখে।
এখন আপনার প্রশ্ন জাগতে পারে মনে যে, প্রেসিডেন্ট অফ ভারত লিখলে নোট বন্দি হবে কেন? আপনার মনে সঠিক প্রশ্ন উঁকি মেরেছে। এর উত্তরটা একটু সহজ করে বললে আমরা যে কারেন্সি মানে যে রুপি ব্যবহার করি সেগুলো সবগুলোই কিন্তু ইন্ডিয়া লেখা আছে। আর মোদি সরকার যদি দেশের নাম পরিবর্তন করে তাহলে নোট পরিবর্তন করবে। এটাই এখন মানুষের মনে খটকা বাধছে। আবার নোট বন্দি হবে নাতো? সাধারণ মানুষ কিন্তু অনেক ভয় ভীত হয়ে গেছে। এখন শেষ পর্যন্ত দেখার যে মোদি সরকার যদি শুধু টাকারই নাম পরিবর্তন করে মানে ইন্ডিয়া থেকে ভারত করে তাহলে সব জিনিসেরই ইন্ডিয়া থেকে ভারত করা উচিত হবে। কারণ IPS, IAS, IIT, RBI,INDIAN RAILWAY, ETC. এই সমস্ত জিনিসেরই নাম পরিবর্তন করতে হবে। শেষপর্যন্ত দেখাই যাক মোদি সরকার এত বড় risk নিচ্ছে কিনা?
ইসরাইল এবং ফিলিস্তিন যুদ্ধ ২০২৩
জাতিসংঘ উদ্বিগ্ন যে ইসরায়েলি এবং ফিলিস্তিনিদের মধ্যে লড়াই আরও খারাপ হচ্ছে এবং এটি একটি খুব বড় এবং বিপজ্জনক যুদ্ধে পরিণত হতে পারে।
বহুকাল আগে, মধ্যপ্রাচ্যে ফিলিস্তিন নামে একটি জায়গা ছিল। এটি অটোমান নামক একদল লোক দ্বারা শাসিত হত। কিন্তু একটি বড় যুদ্ধের পর ব্রিটেন নামে একটি ভিন্ন দেশ ফিলিস্তিনকে নিয়ন্ত্রণ করতে শুরু করে। ফিলিস্তিনে, বেশিরভাগ লোক ছিল আরব, তবে কিছু ইহুদিও ছিল যারা এত বেশি ছিল না। সমস্যাটি শুরু হয়েছিল যখন অন্যান্য দেশ ব্রিটেনকে ফিলিস্তিনে ইহুদিদের জন্য একটি বিশেষ স্থান তৈরি করতে বলেছিল এবং এর ফলে আরব ও ইহুদিরা ভালোভাবে মিলতে পারেনি। ইহুদি এবং আরব উভয়ই একই জায়গায় বাস করতে চায়, কিন্তু তারা উভয়েই বিশ্বাস করে যে এটি তাদেরই। ইহুদিরা অনেক আগে থেকেই এই জায়গায় চলে আসতে শুরু করে এবং তাদের জনসংখ্যা বাড়তে থাকে।
তারা সেখানে গিয়েছিল কারণ তাদের সাথে ইউরোপে খারাপ আচরণ করা হচ্ছে এবং তাদের অনেকেই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নিহত হয়েছিল। তারা এই জায়গায় নিজেদের জন্য একটি নতুন বাড়ি করতে চেয়েছিলেন। ফিলিস্তিন নামক স্থানে ইহুদি ও আরব জনগণের মধ্যে লড়াই শুরু হয় এবং একই সময়ে ব্রিটিশ শাসকদের বিরুদ্ধে আরও বেশি সংখ্যক মানুষ লড়াই করতে থাকে। বহুকাল আগে, প্যালেস্টাইন নামে একটি জায়গা ছিল যেখানে ইহুদি এবং আরব উভয় সম্প্রদায়ের লোক বাস করত। জাতিসংঘ, যা দেশগুলির একটি বড় দলের মতো, প্যালেস্টাইনকে দুটি ভাগে বিভক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, একটি ইহুদি জনগণের জন্য এবং একটি আরব জনগণের জন্য।
তারা আরও বলেছিল যে জেরুজালেম শহরটি বিশেষ এবং সকলেরই হবে। ইহুদি নেতারা এই ধারণাকে ঠিক বলেছিল, কিন্তু আরব নেতারা না বলেছিল এবং এর সাথে একমত ছিল না। জাতিসংঘের এই পরিকল্পনা থাকলেও বাস্তবে তা হয়নি। পরবর্তীতে, ব্রিটিশরা যারা ফিলিস্তিনের দায়িত্বে ছিল তারা 1948 সালে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় কারণ তারা এই সমস্যার সমাধান খুঁজে পায়নি। তারা চলে যাওয়ার পর, ইহুদি নেতারা বলেছিল যে তারা ইসরাইল নামে তাদের নিজস্ব দেশ তৈরি করছে। অনেক ফিলিস্তিনি বিরক্ত হয়ে যুদ্ধ শুরু করে। আশেপাশের আরব দেশের সৈন্যরাও যুদ্ধে যোগ দেয়। অনেক দিন আগে, অনেক ফিলিস্তিনিকে তাদের বাড়িঘর ছেড়ে যেতে হয়েছিল কারণ তাদের চলে যেতে হয়েছিল। তারা এই সময়কে ‘আল নাকবা’ বা ‘দ্য গ্রেট ক্যাটাস্ট্রফ’ বলে।
যুদ্ধ বন্ধ হওয়ার পর, ইসরায়েল ফিলিস্তিনের বেশিরভাগ অংশের নিয়ন্ত্রণ নেয়, জর্ডান পশ্চিম তীর নামে একটি এলাকা দখল করে এবং মিশর গাজা দখল করে। জেরুজালেম শহর দুটি ভাগে বিভক্ত হয়েছিল। একটি অংশ ইসরায়েলের সৈন্যদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় এবং অন্য অংশটি জর্ডানের সৈন্যদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। কারণ তারা কখনই বন্ধু হতে রাজি হয়নি, উভয় পক্ষই বলতে থাকে যে এটি অন্য পক্ষের দোষ। পরবর্তী বছরগুলিতে তারা আরও বেশি করে যুদ্ধ করেছে।