- এই জয় ভারতের জন্য খুব প্রয়োজন ছিল। এক প্রকার ভাবে বলতে পারেন গৌতম গম্ভীর এবং সূর্য যাদবের খুব প্রয়োজন ছিল। কেননা এই ম্যাচ হেরে গেলে নেটেজিন দের রসা তলে পড়তে হয়তো তাদের।
২৮ জুলাই ২০২৪ তারিখে পল্লেকেলে স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়েছিল টি-২০ ম্যাচ। যেখানে শ্রীলংকার শ্রীলংকার সিরিজের টিকে থাকার স্বপ্নকে দুরমুশ করে দেয় ভারতীয় ক্রিকেট দল। ভারতীয় ক্রিকেট দল শ্রীলঙ্কাকে সাত উইকেট এ পরাজিত করে সিরিজ দখল করে নিল। ভারতীয় ক্রিকেট দল শ্রীলঙ্কা সফরে গিয়েছে সেখানে তারা তিনটি টি-২০ ম্যাচ খেলবে। ভারতীয় ক্রিকেট দল সেখানেই ২-০ এগিয়ে যাই।
প্রথমে ব্যাট করে শ্রীলংকা ১৬১ রান করেছিল। বৃষ্টি ভিন্ন ম্যাচে DLS নিয়মে ভারতের সম্মুখে দাঁড়ায় ৭৮ রান। এই ৭৮ রান আট ওভারে করতে হতো। সেখানে ক্রিকেট দল খুব সহজেই জয় ছিনিয়ে নেই শ্রীলংকার কাছ থেকে।
লঙ্কা বধ ভারতের। T20 সিরিজ দখল ভারতীয় ক্রিকেট দলের।
এখানে আমরা পয়েন্টসহ ভালোভাবে আলোচনা করব। তো অবশ্যই শেষ পর্যন্ত প্রতিবেদন টি পড়বেন।
- ভারতীয় বোলিংয়ের প্রভাব
- শ্রীলঙ্কার ব্যাটিং বিপর্যয়
- ভারতীয় রান তাড়া করার কৌশল
- ম্যাচের মূল পয়েন্ট
- ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ
ভারতীয় বোলিংয়ের প্রভাব
শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ভারতের সাফল্যের মূল চাবিকাঠি ছিল তাদের বোলিং বিভাগ। রবি বিষ্ণোই ছিলেন দলের প্রধান হিরো। যিনি তিনটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট নিয়ে শ্রীলঙ্কার ইনিংসকে ভেঙে দেন। এবং সিরিতে টিকে থাকার স্বপ্নকেও ভেঙে দেন। বিষ্ণোইয়ের কিপটে বোলিং শ্রীলঙ্কার ব্যাটসম্যানদের জন্য এক দুঃস্বপ্ন হয়ে দাঁড়ায়। এবং তার তিনটি উইকেট শ্রীলঙ্কার ইনিংসকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়ক হয়। এছাড়া, ভারতের বোলিং আক্রমণ শেষ পাঁচ ওভারে মাত্র ৩১ রান দেয়। যা শ্রীলঙ্কার স্কোর কে একটি সহজলভ্য ম্যাচে সীমাবদ্ধ রাখে, ভারতীয় বোলিং বিভাগ।
শ্রীলঙ্কার ব্যাটিং বিপর্যয়
শ্রীলঙ্কার ইনিংস শুরু হয়েছিল বেশ শক্তিশালীভাবে, তারা খুব প্রথমে খুব মারকাটারিভাবে শুরু করলেও একটি নির্দিষ্ট রানে সীমাবদ্ধ থেকে যায়। তারা ১৫ তম ওভারের শেষে ১৩০/২ ছিল এবং একটি বড় স্কোরের দিকে ধাবিত হচ্ছিল। কিন্তু, তাদের ইনিংসে হঠাৎ করে বিপর্যয় আসে। শ্রীলংকার ব্যাটসম্যানরা পরপর উইকেট হারাতে থাকেন। শেষ পাঁচ ওভারে ৭টি উইকেট হারিয়ে তারা ১৬১/৯ রানে পৌঁছায়। এর ফলে তারা বিশাল বড় রান করে ভারতকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলতে পারেনি। এখানে শ্রীলংকার ব্যাটসম্যানরা বড় স্কোর করতে পারেনি। যার ফলে শ্রীলংকা একটি খুব সহজ টার্গেট দিয়ে দেয়।
আরো পড়ুন: শাহরুখ খান এর সম্মানে তাকে কে নিয়ে সোনার কয়েন তৌরি করল এই দেশ?
ভারতীয় রান তাড়া করার কৌশল
DLS নিয়মে ভারতের সামনে আঠাত্তর (৭৮) রান করতে হতো আট (৮) ওভারে। ভারতীয় ওপেনার ইয়াশস্বী জয়সওয়াল এবং অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব ব্যাট হাতে শক্তিশালী ভূমিকা পালন করেন। তারা কার্যকরীভাবে রান তোলেন এবং সহজেই লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যান। ভারতের নির্ভুল ব্যাটিং এবং কৌশলী দৃষ্টিভঙ্গি নিশ্চিত করে যে তারা নির্ধারিত লক্ষ্যে পৌঁছেছে, যা তাদের সিরিজের জয় নিশ্চিত করে।
ম্যাচের মূল পয়েন্ট
- বোলিংয়ের গুরুত্ব: রবি বিষ্ণোইয়ের তিনটি উইকেট এবং শেষ পাঁচ ওভারে ভারতীয় বোলারদের কিপটে বোলিং এর জন্য শ্রীলঙ্কার ইনিংসকে নিয়ন্ত্রণ করে রাখে। শ্রীলঙ্কার শেষের দিকের ব্যাটিং ব্যর্থতা তাদের জয় লাভের পথ বন্ধ করে দেয়।
- ব্যাটিংয়ের দক্ষতা: ভারতীয় ওপেনারদের আবার রান করেন ইয়াশস্বী জয়সওয়াল। অপরদিকে শুভমান গিলকে বেঞ্চে বসিয়ে রেখে সুযোগ দেই সঞ্জু সমসাং কে। কিন্তু তিনি নিজেকে প্রমাণ করতে ব্যর্থ হন। কিন্তু আনডাউনে নেমে সূর্য কুমার যাদব রান করে ম্যাচ কে সহজ করে দেন।
- স্ট্র্যাটেজিক প্লে: ভারতের বোলিং বিভাগের কৌশলগত দক্ষতা এবং শ্রীলঙ্কার ব্যাটিংয়ের অস্বচ্ছলতা ম্যাচের ফলাফল নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ
এই জয় ছিল ভারতের জন্য একটা চ্যালেঞ্জিং বিষয়। কারণ গৌতম গম্ভীর হেড কোচ হওয়ার পর অনেকগুলো পরিবর্তন করেন। যেমন ক্যাপ্টেন ছিলেন হার্দিক পান্ডিয়া। তাকে সরিয়ে দিয়ে সূর্য কুমার যাদব কে ক্যাপ্টেন করা হয়। গত ম্যাচের রান করা শুভমান গিল কেউ তারা বেঞ্চে বসিয়ে দেই।
এই জয় ভারতের জন্য খুব প্রয়োজন ছিল। এক প্রকার ভাবে বলতে পারেন গৌতম গম্ভীর এবং সূর্য যাদবের খুব প্রয়োজন ছিল। কেননা এই ম্যাচ হেরে গেলে নেটেজিন দের রসা তলে পড়তে হয়তো তাদের।
নিত্যদিনের প্রয়োজনীয় খবরের জন্য আমাদের ওয়েবসাইটে চোখ রাখুন। বিভিন্ন ধরনের রেভিওয়ের জন্য অবশ্যই আমাদের প্রতিবেদন গুলো পড়বেন। এই ওয়েবসাইটে মোবাইল, বাইক, গাড়ি, ল্যাপটপ আরো অন্যান্য জিনিসের রেভিউ করা হয়।
ধন্যবাদ আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করার জন্য।
Thank you very much for visite our website.
1 thought on “লঙ্কা বধ ভারতের। T20 সিরিজ দখল ভারতীয় ক্রিকেট দলের।”