পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির অবস্থা খুবই খারাপ। ভোটার কমলো 47.63% ।
বিধানসভা নির্বাচন হোক কিংবা লোকসভা নির্বাচন হোক গতবার বিজেপি তিন একে ( 3-1)এগিয়েছিল। কিন্তু এবার যে উপনির্বাচন হল সেখানে হাবুডুবু খেলো গেরুয়া অর্থাৎ বিজেপি। শুধু হাবুডুবু না ভোট পার্সেন্টও অনেক কমেছে। এমনিতেই গেরুয়া শিবির লোকসভা ভোটের ফলাফল এর ধাক্কা সামলে উঠতে পারেনি। এর মধ্যে আরো দুঃখের খবর চলে এলো পশ্চিমবাংলা থেকে। কারণ পশ্চিম বাংলাতে শুধু ১ লাখ ৮৭ হাজার ভোট কমেছে বিজেপির।। আর যে চারটি কেন্দ্রে উপনির্বাচন হলো সেখানে মুখ থুবড়ে পড়েছে গেরুয়া শিবির।
আর এই চারটি কেন্দ্রে জয়লাভ করেছে তৃণমূল। বিজেপিকে একদম বিপাকে ফেলে দিয়েছে এ চারটি কেন্দ্রে। এমনিতেই পশ্চিমবাংলা থেকে গতবারের থেকে এবার লোকসভাতে অনেক সিট কম পেয়েছে। আবার দেড় মাসের মধ্যে বিজেপি অর্থাৎ তাদের যে তিনটি কেন্দ্র দখলে ছিল সেটিও হারিয়ে দিল।
রানাঘাট:
রানাঘাট দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রে যে উপনির্বাচন হল সেখানে বিজেপি মাত্র ৭৪ হাজার ৪৮৫ পেয়েছে। সে কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী ছিলেন মনোজ কুমার বিশ্বাস। গত লোকসভা ভোটে বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার ১ লক্ষ ২৩ হাজার ৩৫৮ ভোট পেয়েছিলেন। অর্থাৎ দেড় মাসের মধ্যেই বিজেপির ভোট সংখ্যা কমেছে ৪৯ হাজার ৮৩ ভোট। আর সেই লোক সভাতে বাজিমাত করেছে তৃণমূল। তাদের ভোট সংখ্যা বেড়েছে ২৬ হাজার ৯০১।
পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির অবস্থা খুবই খারাপ। ভোটার কমলো 47.63% ।
রায়গঞ্জ :
রায়গঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থী ছিলেন কৃষ্ণ কল্যাণী। এখানেও বিজেপির অবস্থা খুব খারাপ। এখান থেকে গত লোকসভা নির্বাচনে কার্তিক চন্দ্র পাল ৯৩ হাজার ৪০২টি ভোট পেয়েছিলেন। এবং গত লোকসভা নির্বাচনে কৃষ্ণ কল্যানী এই কেন্দ্র থেকে ভোট পেয়েছিলেন ৪৬৬৬৩ টি। এবার এই উপনির্বাচন কেন্দ্রে তৃণমূলের পক্ষ থেকে প্রার্থী ছিলেন কৃষ্ণ কল্যাণে এবং গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে প্রার্থী ছিলেন মানস কুমার ঘোষ। এই মানুষ তোমার ঘোষের কপালে মাত্র ৩৬ হাজার ৪০২টি ভোট জুটেছে।। অন্যদিকে কৃষ্ণ কল্যাণী যে লোকসভা ভোটে কম ভোট পেয়েছিলেন এবার তিনি সেখানে ভোট পেয়েছেন ৮৬,৪৭৯।
বাগদা:
এই বাগদা কেন্দ্র থেকে বিজেপি প্রার্থী সান্তান্য ঠাকুর ভোট পেয়েছিলেন এক লক্ষ বারো হাজার সাতশো চার ভোট।। কিন্তু এই উপনির্বাচনে গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে প্রার্থী ছিলেন বিনয় কুমার বিশ্বাস তিনি ভোট পেয়েছেন ৭৪ হাজার ২৫১টি।
অর্থাৎ গেরুয়া শিবিরের দেড় মাসের মধ্যেই প্রায় ৩৮৪৮৩ টি ভোট কমছে। আর সেখানে তৃণমূলের ভোট বেড়ে ছে ১৫৬১৬ টি। বিশ্বজিৎ দাস লোকসভা নির্বাচনের প্রার্থী ছিলেন তৃণমূলের পক্ষ থেকে। তিনি সেখানে ভোট পেয়েছিলেন ৯২ হাজার ৯০ টি। আর এখন মধুপর্না ঠাকুর সেই উপনির্বাচনে এক লক্ষ ৭৭০০৬ টি ভোট পেয়ে জয় ছিনিয়ে নিয়েছে বিজেপির প্রার্থীর থেকে।
মানিকতলা:
দেড় মাসের মধ্যেই এই মানিকতলা থেকে বিজেপি ৪২ হাজার ৫৯১ টি ভোট হারিয়েছে।। অপরদিকে তৃণমূলের ভোট বেড়েছে ১৬১৪৬ টি। এই উপ নির্বাচনে ৮৩১১০ টি ভোট পেয়েছেন সুপ্তি।
সার্বিকভাবে আলোচনা করতে হলে দেখা যাবে যে ওই চারটি কেন্দ্র থেকে গেরুয়া শিবের ভোট পেয়েছিল ৩৯৩০৬৩ টি। আর এখন ওই চারটি কেন্দ্রের মোট ভোট হিসাব করলে দেখা যাবে ২ লক্ষ ৫ হাজার ৯৩৬ টি ভোট পেয়েছে। অর্থাৎ গেরু আসিফের দেড় মাসের মধ্যে প্রায় এক লক্ষ 87 হাজার 217 টি ভোট হারিয়েছে।। যা গড শতাংশ বের করলে দেখা যাবে ৪৭.৬৩ শতাংশ ভোট কমেছে বিজেপির।
অন্যদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সংবাদমাধ্যমে এসে বলেন এই জয় মানুষের জয়। এই জয় অন্যায়ের বিরুদ্ধে জয়।
এই জয় নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মানুষকে অর্থাৎ জনসাধারণকে ধন্যবাদ জানান।
নিত্যদিনের প্রয়োজনীয় খবরের জন্য আমাদের ওয়েবসাইটে চোখ রাখুন। বিভিন্ন ধরনের রেভিওয়ের জন্য অবশ্যই আমাদের প্রতিবেদন গুলো পড়বেন। এই ওয়েবসাইটে মোবাইল, বাইক, গাড়ি, ল্যাপটপ আরো অন্যান্য জিনিসের রেভিউ করা হয়।
ধন্যবাদ আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করার জন্য।
Thank you very much for visite our website.