নেপালে আবার বিমান দুর্ঘটনা। মৃত 18 জন, ঘায়েল?
আজকের ডেটে অ্যাক্সিডেন্টটা খুব সহজ হয়ে গেছে। হোক সেটা বাইকে কিংবা হোক সেটা চার চাকায়। হোক সেটা ট্রেন কিংবা হোক সেটা আকাশ যান। এখন যেন এক্সিডেন্ট টা খুব কমন ব্যাপার হয়ে গেছে।
আজকে আপনাদের এই প্রতিবেদনে আমি জানাবো বিমান ক্রাশের ঘটনা। যেখানে আপনাকে অস্থির করে দেবে ঘটনা শুনে। আজকের এই প্রতিবেদনটি অবশ্যই ভালোভাবে পড়বেন আপনার শরীর শিউরে উঠবে।
মেন মেন পয়েন্ট গুলি
এয়ারলাইনস | সর্য এয়ারলাইনস |
যাত্রী ছিল | 19 জন |
মৃত | 18 জন |
সময় | প্রায় 11 টা |
বুধবারের দিন ১১ টার সময় নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু তে এ বিমান ক্রাশ হয়েছে। বিমানে বসে থাকা 19 জনের মধ্যে 18 জনের মৃত্যু হয়ে গেছে এবং একজন প্রচুর আকারে ক্ষতবিক্ষত হয়েছেন। সে ক্ষতবিক্ষত পাইলটকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তার নাম হলো ক্যাপ্টেন এম সাক্য। বিমানটি কাঠমান্ডু থেকে পোখরা যাচ্ছিল।
বিমানটি মোটামুটি সকাল ১১ টার সময় ত্রিভুবন এয়ারপোর্ট থেকে উড়ে ছিল। এয়ারপোর্ট থেকে একটু দূরে যাওয়া মাত্রই বিমানটি ক্রাশ হয়ে যায়। 9N-AME এই নাম্বারের বিমানটি ধৈর্য এয়ারলাইনের বা আকাশযানের ছিল।
দুর্ঘটনায় মারা যাওয়া ১৮ জন মানুষের মধ্যে তিনজন একই পরিবারের ছিল। তাদের মধ্যে মুন রাজ শর্মা, তার স্ত্রী প্রিজা খাটিবাডা এবং তাদের চার বছরের ছেলে আদি রাজ শর্মা ছিলেন।
আরো পড়ুন: Indian Railway RRB JE Vacancy 2024। মনোযোগ সহকারে পড়বেন।
আসলে বিমানটি ছিল 21 বছরের পুরনো বিমান। সেটিকে মেরামত করার পর টেস্টিংয়ের জন্য নিয়ে যাচ্ছিলেন। প্লেনে থাকা ১৯ জন ছিলেন সর্য এয়ার লাইনের টেস্টিং স্টাফ। নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু এর প্রতিবেদন অনুযায়ী ঘটনা স্থলে খুব তাড়াতাড়ি ফায়ার ফাইটার্স এবং পুলিশ পৌঁছে যান। সেখানে গিয়ে তারা যত সম্ভব তাদের উদ্ধার করেন।
এক সুরক্ষা কর্মী অনুযায়ী বিমান ক্রাশের সাথে সাথেই আগুন নিভিয়ে দেওয়া হয়। ঘটনা স্থলের ছবি দেখলে আপনি শিওরে উঠবেন। বিমান ক্রাশ হওয়ার পর প্রচুর পরিমাণে ধোয়া নির্গত হয়।
যারা এই ঘটনা স্বচক্ষে দেখেছেন তারা কাঠমুন্ডু রিপোর্ট এ বলেছেন যে বিমান টি রানওয়ের দক্ষিণ দিক থেকে উড়ছিল। বিমানটি উড়তে উড়তে হঠাৎ একটা ঝাঁকি মেরে উঠে এবং আগুন ধরে যায়। তারপর এটি রানওয়ের পূর্ব অংশে অবস্থিত বুদ্ধ এয়ার হ্যাঙ্গার এবং রেডার স্টেশনের মধ্যে একটি গর্তে পড়ে যায়।
সৌর্য এয়ারলাইন্সের ওয়েবসাইট অনুসারে, এই কোম্পানি নেপালে মোট ৫ টি স্থানে বিমান চালাচ্ছে। তাদের কাছে ৩টি বোম্বার্ডিয়ার CRJ-200 জেট রয়েছে।
একটি পরিবারের ৩ জনের মৃত্যু
একটি পরিবারের তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যে একজন চার বছর বয়সী শিশু ছিল। এয়ারলাইনসের বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে, ফ্লাইট মেনটেন্যান্স ম্যানুরাজ শর্মা তার স্ত্রী প্রিয়া খাতিবাড়া এবং তাদের চার বছরের ছেলে অধিরাজ শর্মার সঙ্গে ভ্রমণ করছিলেন। রিপোর্ট অনুসারে, দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছিল ১৭ জন যাত্রী সৌর্য এয়ারলাইন্সের কর্মী। তারা সবাই সূর্য এয়ারলাইন্সে কাজ করতেন। নেপালের গত ১৪ বছরে বারটি বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছে।
নেপালে প্রতি বছর গড়ে একটি বিমান দুর্ঘটনা ঘটে। ২০১০ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ১২টি প্লেন ক্র্যাশ হয়েছে। ১৪ জানুয়ারি ২০২৩ তারিখে একটি বড় বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছিল। যতি এয়ারলাইন্সের বিমান কাঠমান্ডু থেকে ২০৫ কিলোমিটার দূরে পোখারা তে ক্র্যাশ হয়েছিল। এটি ATR-72 বিমান ছিল।
এরছাড়াও, ২০১৮ সালে কাঠমান্ডুর ত্রিভুভন এয়ারপোর্টের কাছে US-বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি বিমান ক্র্যাশ হয়েছিল। এতে ৫১ জনের মৃত্যু হয়েছিল এবং ২০ জন গুরুতর ভাবে আহত হয়েছিলেন।
এরছাড়াও, ২০১৮ সালে কাঠমান্ডুর ত্রিভুভন এয়ারপোর্টের কাছে US-বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি বিমান ক্র্যাশ হয়েছিল। এতে ৫১ জনের মৃত্যু হয়েছিল এবং ২০ জন গুরুতর ভাবে আহত হয়েছিলেন। নেপালে একটি ধারাবাহিক ভাবে ঘটতে থাকা বিমান দুর্ঘটনার দেখে ইউরোপীয় ইউনিয়ন নেপালি ক্যারিয়ারগুলিকে তাদের এয়ারস্পেসে নিষিদ্ধ করেছে।
যায় হোক, বিমান দুর্ঘটনা যেন এখন স্বাভাবিক হয়েগেছে। এয়ারলাইনস যাতে সুরক্ষিত ভাবে চলাচল করে তার দিকে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে। সরকার কে এর জন্য জন্য আলাদা কিছু উদ্যোগ নিতে হবে। নয়তো যাত্রীরা আকাশ যানে চলাচল করতে ভয় পাবে।
নিত্যদিনের প্রয়োজনীয় খবরের জন্য আমাদের ওয়েবসাইটে চোখ রাখুন। বিভিন্ন ধরনের রেভিওয়ের জন্য অবশ্যই আমাদের প্রতিবেদন গুলো পড়বেন। এই ওয়েবসাইটে মোবাইল, বাইক, গাড়ি, ল্যাপটপ আরো অন্যান্য জিনিসের রেভিউ করা হয়।
ধন্যবাদ আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করার জন্য।
Thank you very much for visite our website.